পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এবং মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে কর্মরত জাতিসংঘের অন্যান্য সংস্থাগুলোকে বাংলাদেশে আশ্রয়রত রোহিঙ্গাদের তাদের নিজ দেশে নিরাপদ, স্বেচ্ছায়, মর্যাদাপূর্ণ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের অনুকূল পরিবেশ তৈরিতে সহায়তা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) জাতিসংঘের ডব্লিউএফপির কান্ট্রি ডিরেক্টর ডমেনিকো স্কালপেলি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তার কাছে পরিচয়পত্র পেশ করার সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এই আহ্বান জানান।
মিয়ানমারে স্কালপেলির কাজ করার পূর্বের অভিজ্ঞতার কথা উল্লেখ করে ড. মোমেন ডব্লিউএফপির নির্বাহী পরিচালক ডেভিড এম বেজলির সাথে তার শেষ বৈঠকের কথা স্মরণ করেন এবং ভাসানচরে স্থানান্তরিত রোহিঙ্গাদের সমর্থনে কাজ শুরু করার জন্য ডব্লিউএফপিকে ধন্যবাদ জানান।
ডব্লিউএফপির বাংলাদেশ প্রতিনিধি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে তার আসন্ন ভাসানচর সফর সম্পর্কে অবহিত করেছেন এবং সেখানে তাদের কর্মীদের আবাসন, পরিবহন এবং অন্যান্য সুবিধা প্রদানের জন্য সরকারকে ধন্যবাদ জানান, আজ সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়েছে।
বৈঠকে স্কালপেলি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের সম্মানের সঙ্গে আশ্রয় দেওয়ার জন্য বাংলাদেশের উদারতার প্রশংসা করেন।
তিনি চলমান এই মানবিক সংকটে ডব্লিউএফপি-এর অত্যাবশ্যকীয় কাজের জন্য সমর্থন অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করার জন্য পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বিশ্বব্যাপী খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং এই অঞ্চলের জন্য কৌশলগত রিজার্ভ হিসেবে দক্ষিণ এশিয়ায় একটি ‘আঞ্চলিক খাদ্য ব্যাংক’ স্থাপনের পরামর্শ দেন।
তিনি ডব্লিউএফপিকে সরকারের সহযোগিতায় পরিচালিত বিভিন্ন কর্মসূচির অংশ হিসাবে পুষ্টির বিষয়ে তার ফোকাস বাড়ানোর আহ্বান জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী স্কালপেলিকে এখানে তার দায়িত্ব কার্যকরভাবে পালনে সরকারের কাছ থেকে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদানের আশ্বাস দেন।
সূত্র: বাসস
পাঠকের মতামত: